您现在的位置是:लाड़ली लक्ष्मी योजना mp > आईपीएल प्वाइंट टेबल 2023

হাতির সংখ্যা বাড়ছে উত্তরে, দ্রুত শুমারির দাবি

लाड़ली लक्ष्मी योजना mp2023-09-17 10:30:47【आईपीएल प्वाइंट टेबल 2023】0人已围观

简介এ রাজ্যের জঙ্গলে হাতির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। হাতির আনাগোণা বৃদ্ধি ও তাদের গতিবিধি দেখে পরিবেশবিদ ও প

এ রাজ্যের জঙ্গলে হাতির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। হাতির আনাগোণা বৃদ্ধি ও তাদের গতিবিধি দেখে পরিবেশবিদ ও প্রাণীপ্রেমীরা নিশ্চিত শুমারি হলে সংখ্যাটা উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাবে।২০১৮ সালে শেষবার হাতিশুমারি হয়েছে। সেবার একসঙ্গে রাজ্য ও অন্য রাজ্যেও হাতি শুমারি হয়েছিল।সেখানে দেখা যায়,হাতিরসংখ্যাবাড়ছেউত্তরেদ্রুতশুমারিরদাবি রাজ্যে হাতির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল । ২০১৬ সালের পর ২০১৮ সালে‘ডাং ডিকে’ পদ্ধতি অনুসরণ করে হাতি গণনার করা হয়।২০১৬ সালের সমীক্ষায়উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে এ রাজ্যে হাতির সংখ্যা সাড়ে পাঁচশোর কাছাকাছি ছিল। সেখান থেকে পরের দু বছরে২০১৮ সালের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, হাতির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিলপ্রায় ৭০০টি।সমীক্ষাতেই ধরা পড়েছে, দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূমের বিভিন্ন জঙ্গলের থেকে উত্তরবঙ্গের কার্শিয়াং, বক্সা, তরাই, ডুয়ার্স, কালিম্পংয়ের বিভিন্ন জঙ্গলে হাতির সংখ্যা অনেক বেশি। মূলত নেপাল ও অসমের জঙ্গলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকাতেই রাজ্যে হাতি মাঝে মধ্য়েই চলে আসে।বনবাসীদেরনিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। যার মাধ্যমে কোনওএলাকায় হাতি দেখলেই তার সচিত্র বর্ণনা পাঠানোর সঙ্গে বনকর্মীরা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেন। তাতে অনেক সুবিধা হয়েছিল। তা ছাড়া হাতির বিষ্ঠা দেখলেও তাঁরা বন দফতরে খবর দেন।এক প্রাক্তন বনকর্তাঅতনু রাহা জানিয়েছিলেন,এ রাজ্যে হাতির থাকার জন্য অনুকুল পরিবেশ ও পর্যাপ্ত খাদ্য রয়েছে। পাশাপাশি হাতিকে উত্তরবঙ্গের মানুষ মহাকালবাবা হিসেবে দেবতার আসন দিয়েছেন। ফলে হাতিরউপর মানুষের আক্রমণের ঘটনাও তুলনামূলক ভাবে অনেক কম।মূলত সেই কারণেই হাতির দল এ রাজ্যকে সেফ হোম হিসেবে বেছে নিচ্ছে।পরিবেশপ্রেমী অনিমেষ বসু জানান, হাতির সংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ উত্তরবঙ্গে প্রচুর অরণ্য এখনও রয়েছে। পাশাপাশি অনেক বড় টেরিটরি তারা পায় নেপাল, অসমের বিশাল জঙ্গলের সঙ্গে কোচবিহার, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ির একটা বিস্তীর্ণ জঙ্গল ভিতর দিয়ে যুক্ত। ফলে সাম্রাজ্য বিস্তারে সুবিধা হয়। অন্যদিকে বন্যপ্রাণপ্রেমী দীপজ্যোতি চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ভুট্টা, কলা, ধানখেত জঙ্গল লাগোয়া এলাকায়বেশি থাকায় হাতি বেড়িয়ে আসছে। আর জঙ্গলবাসীরা জানিয়েছে, হাতির দলে মোটসংখ্য়া বৃদ্ধি হয়েছে। তা পরিষ্কার। এলাকার পরিবেশ ও পর্যটন বিশেষজ্ঞ রাজ বসু জানিয়েছেন, হাতির উপযুক্ত স্যাঁতসেঁতে বনাঞ্চল হওয়ায় এই এলাকায় হাতির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি হাতি-মানুষের সংঘাত বিগত এক দশকে লাগাতার প্রচার ও সচেতনতার ফলে অনেক কমেছে। এটাও একটা কারণ হাতির সংখ্যা বৃদ্ধির।উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে প্রথম হাতি গণনা হয়েছিল রাজ্যে। তখন পশ্চিমবঙ্গে হাতির সংখ্যা ছিল মাত্র ২২৭টি। এর মধ্যে মাত্র ৫০টি হাতি ছিলদক্ষিণবঙ্গে। বাকিটা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গলে। তার পর থেকে দু’বছর অন্তর হাতি গণনা করা হয়। গত ২০০০সালে সংখ্যাটা ছিল প্রায় সাড়ে তিনশোর কাছাকাছি। ২০১৬ সালে তা পৌঁছে যায় প্রায় সাড়ে পাঁচশোতে। ২০২০ তে হাতি গণনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তা বাতিল করতে হয়। ফলে দ্রুত শুমারির দাবি উঠেছে সব মহল থেকেই।হাতির সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে তাকে পর্যটকদের কাছে বিজ্ঞাপন করেতা আকর্ষণীয় করে তোলা হবে। কী ভাবে বাড়ন্ত হাতিকে কাজে লাগিয়ে তা পর্যটনপ্রেমীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায়, সে ব্যাপারে পর্যটন দফতরের সঙ্গে কথা বলছেন বন দফতরের কর্তারা।

很赞哦!(48323)

相关文章